একজন ছেলে তার প্রয়োজন অনুসারে বিয়ে করতে পারবে না। কোনো ছেলে যদি গোনাহ থেকে বাঁচার জন্যে নিজে থেকেই বিয়ের কথা বলে, তবে অভিভাবকদের চোখ কপালে উঠে যায়। সকলে মিলে ছেলেকে তিরস্কার করা শুরু করেন। 


"এত দ্রুত বিয়ে করবি?", 

"বিয়ে করে খাওয়াবি কী?"

"সংসারের হালটা ধর।"


এসব বলে বলে ছেলেদের বিয়ের স্বপ্নগুলো ধূলিসাৎ করে দেওয়া হয়। বিয়ে-পাগল খেতাব জুটে এদের কপালে। দেখতে দেখতে বয়স যখন তিরিশ পেরিয়ে যায়, বিয়ের ইচ্ছেটাও মরে যায় সমানতালে। বিয়ে আর করা হয়ে ওঠে না। 


বাবা-মা সাধারণত কখন বিয়ের কথা বলে, জানেন?

যখন তারা কোনো কাজের মেয়ের অভাব অনুভব করেন, ঠিক তখন। যখন দেখতেছেন যে, তাদের পক্ষে আর সংসার সামাল দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না, ঠিক তখন ছেলের জন্যে পাত্রী খুঁজেন।


আমি আশ্চর্য হই এসব দেখে।

যখন ছেলে নিজে থেকেই তার বিয়ের প্রয়োজনিয়তা অনুভব করে, তখন তাকে দমিয়ে রাখা হয়।

কিন্তু যখন সেই ইচ্ছেটা একেবারেই মরে যায়, তখন বাবা-মা নিজেদের স্বার্থে ছেলেকে তশকিল করা শুরু করেন। 


কী অবাক-করা ব্যাপার!

প্রয়োজনের সময় একজন ছেলে ঘরে বসে আঙুল চুষবে। আর যখন প্রয়োজন ফুরিয়ে যাবে, তখন বিয়ের জন্যে পুরো পরিবারের পক্ষ থেকে চাপ দেওয়া হবে। বংশের বাত্তি জ্বালানোর কথা মনে করে তখন বাবা-মা'র ঘুম হারাম হয়ে যাবে। অথচ এই ছেলেটাই অনেকবার বাবা-মাকে বিয়ের কথা বলেছে। আকারে-ইঙ্গিতে তো বটেই, অনেক সময় লজ্জার মাথা খেয়ে মুখ ফস্কেও বলেছে। কিন্তু বিয়ের আর কপালে জুটেনি। জুটেছে বিয়ে-পাগলা খেতাব। 


যেসব অভিভাবকরা ছেলেকে যথাসময়ে বিয়ে না দিয়ে গোপন গোনাহের দিকে ঠেলে দিচ্ছেন, তারা প্রস্তুতি নিন। আল্লাহর আদালতে আসামির কাঠগড়ায় আপনাকে দাঁড়াতেই হবে।